কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ বিমান হামলা চালায় দখলদারদের বিমানবাহিনী। এতে লক্ষ্য করা হয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দোহায় ইসরায়েলি হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। তবে এরমধ্যে হামাসের বড় কোনো নেতা নেই।
নিহতদের মধ্যে একজনের নাম হিমাম আল-হায়া বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তিনি হামাসের গাজা শাখার নেতা খালিল আল-হায়ার ছেলে। নিহত অপরজনের নাম জিহাদ লাবাদ। তিনি খালিল আল-হায়ার দপ্তরের পরিচালক ছিলেন। এ দুজন বাদে আর কোনো ফিলিস্তিনি নিহত হননি।
হামাসের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তাদের নেতারা। ওই সময় হামলা হয়। তবে শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ হামলা থেকে বেঁচে গেছেন।
ইসরায়েলি একটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে খালিল আল-হায়াও ছিলেন। তিনি হামাসের গাজা প্রধানের পাশপাশি প্রধান আলোচকের দায়িত্বও পালন করছেন।
দখলদার ইসরায়েলের হামলার পর দোহায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর শহরটির লেগতিফিয়া পেট্রোল স্টেশন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।
এই পেট্রোল স্টেশনের পাশে একটি ছোট আবাসিক কম্পাউন্ড রয়েছে। দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কাতারের আমিরি গার্ড সেখানে ২৪ ঘণ্টাই পাহাড়া দেওয়া শুরু করে।
হামলার পর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ সদস্যদের যেতে দেখা যায়।
হামাসের অনেক নেতা কাতারের দোহায় বাস করেন। সেখান থেকেই তারা নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।